[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

ইসরাইলি হামলার গোপন তথ্য ফাঁস : সিআইএ বিশ্লেষকের ৩৭ মাসের কারাদণ্ড

ইরানের ওপর ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক হামলার ‘টপ সিক্রেট’ নথি ফাঁসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ-র সাবেক বিশ্লেষক আসিফ রহমানকে ৩৭ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ৩৪ বছর বয়সী আসিফ রহমান ২০১৬ সাল থেকে সিআইএ-তে কর্মরত ছিলেন এবং ‘টপ সিক্রেট’ নিরাপত্তা ছাড়পত্রের অধিকারী ছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এফবিআই তাকে কম্বোডিয়ায় গ্রেপ্তার করে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভার্জিনিয়ার এক ফেডারেল আদালতে আসিফ নিজেকে দোষী স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক গোপন তথ্য নিজের কাছে রাখা এবং অনুমোদনহীন ব্যক্তিদের কাছে পাঠানোর অভিযোগ আনা হয়। এসব অপরাধে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও আদালত তাকে ৩৭ মাসের সাজা দেয়।

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যার জবাবে ইরান ইসরাইলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এরপর অক্টোবরের শেষদিকে ইসরাইল পাল্টা সামরিক হামলা চালায়।

আদালতের নথি অনুসারে, ১৭ অক্টোবর আসিফ দু’টি ‘টপ সিক্রেট’ নথি প্রিন্ট করেন। এতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক মিত্রদেশের শত্রুর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান সংক্রান্ত পরিকল্পনার তথ্য। নথিগুলোর ছবি তুলে তিনি সেগুলো কম্পিউটারে সম্পাদনা করেন এবং উৎস গোপন করার চেষ্টা করেন। পরে এগুলো অনুমোদনহীন ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দেন।

পরবর্তীতে এসব নথি ‘মিডল ইস্ট স্পেকটেটর’ নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ইরানের ওপর সম্ভাব্য ইসরাইলি হামলার প্রস্তুতির তথ্য ছিল। তবে হামলার নির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ করা হয়নি।

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ জানায়, এই নথি প্রস্তুত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিওস্পাশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এনজিএ)। এতে ইসরাইলের বিমানঘাঁটিতে বিমান মহড়া ও অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্যও ছিল।

তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ইসরাইল তাদের প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনায় কিছুটা সময় নেন বলে জানা গেছে।