ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে রাজি সৌদি। সৌদি আরব সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এমন সময় তিনি সৌদি সফরে গেলেন যখন দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছে। সম্পর্ক জোরদারে তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে তিন দিনের সফরে এসে মঙ্গলবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ব্লিংকেনের খোলামেলা, আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। এ সময় ব্লিংকেন সৌদি যুবরাজের সঙ্গে মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে কথা বলতেই সৌদি সফরে গেছেন ব্লিংকেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি ওঠে এসেছে। আলোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি। তবে কর্মকর্তারা জানান, খুব সহজে বা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে রাজি সৌদি
এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। সৌদি আরব নিজেদের বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প চালু, এর বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও এ-সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে। বৈঠকে সুদান ও ইয়েমেনে সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টার ওপরও আলোকপাত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, দুই দেশের স্বার্থ জড়িত আছে এ রকম কিছু সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ ও মতভেদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে।এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বৈঠকে ব্লিংকেন সাধারণ ও নির্দিষ্ট উভয়ক্ষেত্রেই মানবাধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেন বলে কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদে যোগ দিতে বুধবার তিনি রিয়াদে পৌঁছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে ইরান নীতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম ও মানবাধিকারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতভেদের কারণে দুই দেশের কূটনীতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।ওয়াশিংটন মনে করে, কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এবং এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান রুশ ও চীনা আধিপত্য কমবে।
আরও দেখুনঃ