উন্নয়নশীল দেশের তালিকার এশিয়ার মধ্যে প্রথম দিকে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক উন্নত অর্থনীতি এবং উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বের সব দেশগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করে এই তালিকায় উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে রেখেছে তারা। পাশাপাশি এশিয়ার মধ্যেও উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় প্রথমদিকে রেখেছে তারা।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সপ্তাহব্যাপী বসন্তকালীন বৈঠক চলছে। সেখানে বিশ্ব অর্থনীতির নানা দিক নিয়ে আলোচনার মধ্যে বুধবার এই তালিকা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এই শ্রেণী বিন্যাসে কঠোর মানদণ্ড, অর্থনৈতিক বা অন্যথার উপর ভিত্তি করে নয় এবং এটি সময়ের সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হল তথ্য সংগঠিত করার একটি যুক্তিসঙ্গত অর্থপূর্ণ পদ্ধতি প্রদান করে বিশ্লেষণ সহজতর করা।
উন্নয়নশীল দেশের তালিকার এশিয়ার মধ্যে প্রথম দিকে বাংলাদেশ
আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের তালিকা করতে দেশীয় অর্থনীতির সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ডেটার জন্য কম্পোজিট, বৃদ্ধির হার বা অনুপাত, মোট বিশ্বের জিডিপির একটি অংশ হিসাবে ক্রয় ক্ষমতা সমতা মূল্যের জিডিপি পরিমাপ করা হয়। বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার হল আগের বছরের তুলনায় সাধারণ শতাংশ পরিবর্তন, উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে, যার জন্য হারগুলি লগারিদমিক পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে।
ক্রয় ক্ষমতার সমতা শর্তে মাথাপিছু প্রকৃত জিডিপির জন্য কম্পোজিটগুলি নির্দেশিত বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক ডলারে রূপান্তরের পরে পৃথক দেশের ডেটার সমষ্টি।
এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসার আভাস বহাল রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ); তবে আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রকাশিত আরেকটি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে চলতি অর্থবছরের শেষে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস জানুয়ারির মতই থাকবে বলে জানিয়েছে। তবে তা অক্টোবরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।
কোভিড মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে পুনরুদ্ধারের পথে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতি ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে চাপে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটে বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাপক চাপে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা কমাতে আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থাটি চার দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।
সংস্থাটির পরামর্শ মেনে আর্থিক খাতসহ অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারও শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ব্যয় সাশ্রয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুই দশমিক আট শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আর পরের বছরে অর্থাৎ, ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধি হবে তিন শতাংশ। কিন্তু, এর আগে ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক চার শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলটি।
আরও দেখুনঃ