[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

২৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড় চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে খুব শীঘ্রই

২৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড় চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে খুব শীঘ্রই। খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিক পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শেষের পথে। কেন্দ্রটির সব যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে সংযোজন করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রটিতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এর বাইরে মেঘনাঘাটেই দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এরমধ্যে ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ৫৮৩ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে দেশীয় কোম্পানি সামিট পাওয়ার। অন্যদিকে খুলনায় ৮০০ মেগাওয়াটের আরও একটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি।

২৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড় চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে খুব শীঘ্রই

সূত্র বলছে, সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রই নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তিন থেকে চার বছর আগে। শিডিউলে দেখা যায়, কেন্দ্রগুলোর মধ্যে দুটির গত মার্চেই উৎপাদনে আসার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। তবে উৎপাদনে আসার সময় কিছু দিন পিছিয়ে গেছে।

 

 

২৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড় চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে খুব শীঘ্রই

 

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পিছিয়ে গেলেও বছরের শেষ নাগাদ সবগুলো কেন্দ্র উৎপাদনে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। নানা সংকটের কারণে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে দেরি হয়েছে। বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কিছুটা বেশি সময় লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। বর্তমানে দেশে ১৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের আওতায় রয়েছে।
google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

সূত্র মতে, এখন দেশে বিদ্যুৎ সংকট না থাকলেও ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার ১০০টি ইকোনমিক জোন নির্মাণ করছে। এসব ইকোনমিক জোনে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে অনেক। তাছাড়া এখানে বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করছে সরকার।

 

 

২৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড় চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে খুব শীঘ্রই

 

 

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে সংকট বেশ কিছুটা কমে আসবে। তবে গ্যাসভিত্তিক এই কেন্দ্রগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্যাস প্রাপ্তি। আমরা আশা করছি গ্যাস পাওয়া গেলে সহজেই এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, চলতি বছর বড় বড় কয়েকটি বেইজ লোড বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। সবগুলো কেন্দ্রই গ্যাসচালিত হওয়ায় তেলের ওপর নির্ভরতা কমবে। তাছাড়া চলতি বছরই ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment