ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া ১৩৩ কোম্পানির মধ্যে অন্তত ৩৭ শেয়ার প্রায় প্রতিদিনই এক শতাংশ হারে দর হারাচ্ছে। প্রায় দুই মাস আগে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর প্রতিদিনই এ ঘটনা ঘটছে। এর বাইরে আরও ৪৮ শেয়ার প্রায় একইভাবে দর হারিয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর গত ৩৭ কার্যদিবসের লেনদেন পর্যালোচনায় এমন তথ্য মিলেছে।
এক শতাংশ হারে কমছে ৩৭ শেয়ারের দর প্রতিদিন
ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গত ২১ ডিসেম্বর স্বল্প মূলধনি ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। এর মধ্যে শেয়ার ছিল ১৩৩টি এবং মিউচুয়াল ফান্ড ছিল ৩৪টি। তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পরও যাতে এগুলোর দরপতন এক দিনে ১ শতাংশের বেশি না হয়, সে জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্কিট ব্রেকার কার্যকর না করে নিচের সার্কিট ব্রেকার ১ শতাংশ করা হয়।
এরপরও ক্রমাগত প্রায় ১ শতাংশ হারে দর হারানো শেয়ারগুলো হলো- অলটেক্স, আরামিট সিমেন্ট, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ঢাকা ডাইং, ডমিনেজ স্টিল, জিবিবি পাওয়ার, ইমাম বাটন, জুট স্পিনার্স, খান ব্রাদার্স পিপি, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক্ক, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট, ন্যাশনাল ফিড, প্রাইমটেক্স, রহিমটেক্স, সাফকো স্পিনিং, সুহৃদ, শ্যামপুর সুগার, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, উসমানিয়া গ্লাস, জাহীন স্পিনিং ও জিল বাংলা।
প্রায় একই ধারায় থাকা অন্য শেয়ারগুলোর অন্যতম হলো- সেন্ট্রাল ফার্মা, ইনটেক, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, স্টাইল ক্রাফট, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমটেক্স, দেশবন্ধু পলিমার, আরএসআরএম স্টিল, ইন্দোবাংলা ফার্মা, সায়হামটেক্স, তসরিফা, নর্দার্ন জুট, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, প্যাসিফিক ডেনিম।
এর মধ্যে সর্বাধিক প্রায় ৩০ শতাংশ দর হারিয়ে ইমাম বাটনের শেয়ারদর ১২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৮৮ টাকা ৮০ পয়সায় নেমেছে। একইভাবে শ্যামপুর সুগারের দর ৯৮ টাকা থেকে ৬৯ টাকায়, রহিমটেক্সের দর ২১৫ টাকা থেকে ১৫১ টাকায়, উসমানিয়া গ্লাসের দর ৭৪ টাকা থেকে ৫৩ টাকায়, ইনটেক্সের দর ৩০ টাকা থেকে ২২ টাকার নিচে নেমেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩৭ কার্যদিবসে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৯৯টিই ১ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে। এর মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ দর হারিয়েছে ৩০ শেয়ার। ১০ থেকে ২০ শতাংশ দর হারিয়েছে আরও ৩৩টি।
বাজারমূল্য ১০ টাকার কম হওয়ায় ১২ শেয়ার এবং ২৩ মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতনের সুযোগই নেই। কারণ বিদ্যমান নিয়মে এক দিনে কোনো শেয়ারের দর পরিবর্তন (টিক প্রাইস) ১০ পয়সার কম হতে পারবে না।
তবে এমন দর হারানোর মিছিলের বিপরীতেও কিছু চিত্রও আছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর ৩৩ শেয়ারের দাম কম-বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, বিডিকম, মুন্নু এগ্রো মেশিনারিজ, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার।
আরও দেখুনঃ