কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে হিলিতে। বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখি থাকার পর কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত থাকায় ও দেশিয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশিয় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে। দুদিন পূর্বে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে হিলিতে
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি মূল্যের কারণে আমাদের মত সাধারণ মানুষদের সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। আমরা বাজারে যে
হিসেব করে টাকা নিয়ে আসি কিন্তু পণ্যের বাড়তি দামের কারণে সেটির কোনো হিসেব মিলছে না। হয় পরিমান কমাতে হচ্ছে নয়তো যেখানে কয়েকটি পণ্য কিনতাম সেখান থেকে কাটছাট করতে হচ্ছে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা জানান, তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে দেশে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম বেড়ে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে এর সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। যার কারণে দেশিয় কাঁচা মরিচের উপর চাপ কমতে শুরু করেছে সেই সঙ্গে পূর্বের তুলনায় দেশিয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।

এছাড়া কাঁচা মরিচ যেহেতু একটি কাঁচাপণ্য এর দাম নির্ভর করে ভারতের মোকামে পণ্যটির সরবরাহের উপর। যেদিন সরবরাহ বেশি থাকে সেদিন দাম কম থাকে আর যেদিন সরবরাহ কম থাকে সেদিন দাম বাড়ে। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে প্রকারভেদে তা ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৬৮ টাকার মত পড়তা পড়েছে। যার কারণে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম তেমন একটা কমছে না। এছাড়া কাঁচা মরিচ আমদানিতে যে কেজি প্রতি ৩৫ টাকার মত শুল্ক দিতে হচ্ছে সেটি যদি কমানো হয় বা প্রত্যাহার করা হয় তাহলে দেশের মানুষ আরও একটু কম দামে কাঁচা মরিচ খেতে পারতো।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর দিনাজপুর এর সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, অহেতুক যেন কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না পায় সেটি রুখতে আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। এ সময় বিক্রেতাদের ক্রয় বিক্রয়ের ম্যামো দেখে দামের বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখছি। তারা কি দামে কিনছে আর কি দামে বিক্রি করছে সেটি খতিয়ে দেখছি। এক্ষেত্রে যাদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গত ২৫ শে জুন ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধের পর ২৬ শে জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। ঈদের ছুটির পর গত ৫ জুন থেকে আবারও স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক প্রায় ৫ হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন।
আরও দেখুনঃ