জাপানে শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী, আর প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়েছে ‘রেলগান’ নামের এক অত্যাধুনিক ভবিষ্যৎ অস্ত্র। মাকুহারি শহর থেকে এএফপি জানায়, এই প্রদর্শনীতে জাপান তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি উপস্থাপন করছে।
নির্মাতাদের দাবি, এই রেলগান হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম হবে। প্রচলিত গান পাউডারের বদলে বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় শক্তি ব্যবহার করে বিশেষ রেলপথ ধরে তীব্র গতিতে গোলা নিক্ষেপ করা হয় এতে। বিস্ফোরকের প্রয়োজন না থাকায় শুধু গতির শক্তিতেই শত্রুপক্ষের জাহাজ, ড্রোন বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা সম্ভব।
বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ — যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স এবং জার্মানিও এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তবে জাপানের নৌবাহিনী গত বছর প্রথমবারের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠে রেলগানের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপের দাবি করে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা অ্যাকুইজিশন, টেকনোলজি অ্যান্ড লজিস্টিক্স এজেন্সি (এটিএলএ)-এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রেলগান ভবিষ্যতের অস্ত্র। বিদ্যুতের শক্তিতে এটি গোলা ছোড়ে, বারুদের প্রয়োজন হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন যেসব হুমকি দেখা দেবে, সেগুলো মোকাবেলায় রেলগান অপরিহার্য হয়ে উঠবে।’
বুধবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি ও নতুন আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা নীতির ছাপ স্পষ্ট।
এছাড়া প্রদর্শনীতে নজর কেড়েছে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ সংক্রান্ত ‘প্রজেক্ট সি ৩০০০’ নামের কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ (এমএইচআই) এবং জার্মানির থাইসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমস (টিকেএমএস)।
জাপানি সংবাদমাধ্যমের মতে, এই চুক্তি হতে পারে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক রপ্তানি চুক্তি।