চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ঢাকা থেকে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে পারবে । ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে ৭১ শতাংশ শেষ হয়েছে।নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১৬ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, তার ওপর বসেছে ৭ কিলোমিটার রেললাইন। ৪টি রেলব্রিজ বানানোর কাজও শেষ। আর ঢাকার কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত বসেছে ৬ কিলোমিটার রেললাইন।
দক্ষিণবঙ্গবাসী ডিসেম্বরেই ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে পারবে
ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশ জানিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সম্প্রতি বলেন, ডিসেম্বরেই কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে বাড়ি যেতে পারবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।
জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনের শহরতলি প্ল্যাটফরমই হবে দক্ষিণবঙ্গের টার্মিনাল স্টেশন। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে কাজ; আর এখানেই বানানো হবে তিনটি প্ল্যাটফরম। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে একটির কাজ। প্রথম প্ল্যাটফরমে বসানো হয়েছে লুপ, সিগন্যাল ও মেইন রেললাইন।

বাকি দুটি প্ল্যাটফরমের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। রেলপথের ৪টি আন্ডারপাসের শতভাগ কাজও শেষ হয়েছে । এ অংশে রেলসেতু হবে ১৫টি। তার মধ্যে মেজর সেতু ৪টি। বুড়িগঙ্গ আর ধলেশ্বরী নদীর বুকে সম্পন্ন হয়েছে বড় সব সেতুর কাজও।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ আর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও নীমতলা মাওয়া পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ৪টি আধুনিক রেলস্টেশন। এগুলোর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৪০ ভাগ। এ অংশে ভায়াডাক্টের ওপরেও হবে স্টেশন।মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের কাজ আগামী মাসেই চালু হওয়ার কথা।
আরও দেখুনঃ