দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ দেয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী। বিএনপি মাঝেমধ্যে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করে। সুতরাং তাদের আবার নতুন করে এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা এটা যে বিশেষ গুরুত্ববহ তা নয়। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব, দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেব না।মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেব না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব, জনগণের পাশে থাকব।
দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ দেয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এই সময় তাদের এ ধরনের কর্মসূচি দেয়ার অর্থ হচ্ছে, তারা আসলেই কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না, বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান। তারা (বিএনপি) শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে মাত্র।
আসলে বিদেশিদের কাছে বিএনপির শক্তি প্রদর্শন করার কোনো প্রয়োজন তো নেই। তাদের যদি কোনো অনুযোগ, অভিযোগ থাকে সেটি জনগণের কাছে বলতে হবে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য তাদের সমস্ত কর্মসূচি, সমস্ত কথাবার্তা হচ্ছে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টাপ্রসূত। এটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের দেউলিয়াত্বই প্রকাশ করে।
জাতীয় সংসদে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল পাস হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপি বিরূপ মন্তব্য করেছে। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। তারা যখন সন্তোষ প্রকাশ করে আমি সেটির সঙ্গে সহমত পোষণ করি।
কারণ নির্বাচন কমিশনই বলছে যে, তারা আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটি যেভাবে সংসদে পাস হয়েছে, সেটি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, সেই অবস্থানে থেকে তারা একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে পারবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
‘আমরা রাজা- রাণীর দেশে বাস করতে চাইনি, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম’ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আমি সেই প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পরে তো উনি কিছুদিন উনার বাবাসহ আত্মগোপনে ছিলেন। উনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। বরং কদিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব পাকিস্তানই ভালো ছিল বলে, সেই দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই তো প্রশ্ন থেকে যায়।
কারণ তার দল তাকে শো-কজ করেনি বা তার পদ থেকে বাদ দেয়নি। সুতরাং মির্জা ফখরুল সাহেবরা ‘বাংলাদেশ’ কতটুকু বিশ্বাস করেন সেটি প্রশ্ন। তিনি রাজা- রাণী বলতে বেগম খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন কি না সেটিও প্রশ্ন।
আরও দেখুনঃ