নির্বাচনকে এখন ইলেকশন না বলে সিলেকশন বলা যায়: জি এম কাদের। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচনের নামে যা চলছে তাকে কোন ভাবেই নির্বাচন বলা যায় না। সিলেকশন করা হবে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে, ইলেকশন কমিশনের কাজ হবে সিলেকশনকে বৈধতা দেয়া। তাই ইলেকশন কমিশনকে বলা যায় ইলেকশন ভেলিডেশন কমিশন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
নির্বাচনকে এখন ইলেকশন না বলে সিলেকশন বলা যায়: জি এম কাদের
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনগত ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় লোকজন নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশন করায়ত্ত্ব করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশ শতভাগ বাস্তবায়ন করবে এমন লোকজন নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলো দেশী ও বিদেশীরা। সরকার ইচ্ছে করলে এই নির্বাচনটা সঠিক করতে পারতো। মানুষের প্রত্যাশা অগ্রাহ্য করে নিজেদের মত করেই নির্বাচনটি করেছে। এ কারণেই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। কারণ তারা জানে যেখানেই ভোট দেবে নির্বাচিত হবে সরকারের পছন্দের প্রার্থী।
তিনি বলেন, ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা আসেননি তাই প্রিসাইডিং অফিসাররা বসে বসে ইভিএম-এ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। যেখানে ১ ভাগ ভোট হচ্ছে না, সেখানে ১০ থেকে ১১ ভাগ ভোট দেখাতে তারা এটা করেছে। আগামীতে নির্বাচনের নামে এমন সিলেকশনে গেলে লাভ কী?
জি এম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার তো তাদের অধীনের নির্বাচনের মডেল দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা সাজিয়েছে যাতে তারাই নির্বাচিত হতে পারে। ইচ্ছে মত নির্বাচন ব্যবস্থা কায়েম রাখেতে সরকার দমন পীড়ন চালু করেছে। দেশে এমন দমন-পীড়ন ও নিমর্মতা কোন সরকার করে নাই। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা একজন নাগরিকের দায়িত্ব। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেয়া নাগরিকের কর্তব্য। তাই সমালোচনা করতে দিতে হবে।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু সভায় সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান।
আরও দেখুন: