ট্রেন চলতি মাস থেকেই পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে । শেষ হয়েছে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৫ হাজার ৪শ’ মিটার পাথরবিহীন রেলপথ ঢালাইয়ের কাজ। ৭টি মুভমেন্ট জয়েন্টের কাজও শেষ। এরই মধ্যে সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ গুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অত্যাধুনিক সার্ভে মেশিনে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বসানো হয় পদ্মা সেতুর প্রতিটি রেল স্লিপার। পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সবচেয়ে লেটেস্ট প্রযুক্তি এটা। খুব সহজে এ মেশিনে আমরা কাজ করতে পারি।
চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে ট্রেন
সেতু ও ভায়াডাক বিভাগের সিনিয়র প্রকৌশলী জহিরুল হক জানান, আমরা যেভাবে রাত-দিন কাজ করছি সে অনুযায়ী চলতি মাসেই সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হবে।
প্রাথমিকভাবে ভাঙ্গা-মাওয়া ৪২ কিলোমিটার অংশে চলাচল করবে ট্রেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল সেতুর সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেল স্ল্যাব ট্রাক বসানোর কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সেতুর অগ্রগতি ৮৮ ভাগ। আর ভাঙ্গা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৯২ শতাংশের ওপরে। মূল সেতুতে অবশিষ্ট মুভমেন্ট জয়েন্ট আর ৭৫০ মিটার স্ল্যাব ট্রাকের কাজ চলছে জোরেশোরে।

পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)।
মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথের ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক রয়েছে আট কিলোমিটার। আর জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আরও দেখুনঃ