সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগতযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
দামেস্ক থেকে এএফপি জানিয়েছে, উপসাগরীয় সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে ‘নতুন সুযোগ’ দিতে চায়।
এরপর এক বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে সিরীয় জনগণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
Table of Contents
দীর্ঘ ইতিহাসের নিষেধাজ্ঞা
১৯৭৯ সালে সিরিয়ার ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের সময় তা আরও কঠোর হয়। আসাদ সরকার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত দেশটির ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে ওয়াশিংটন।
নতুন প্রশাসনের উত্থান ও স্বীকৃতি
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘ শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা ছাড়ার পর আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন গঠন হয়। একসময় যুক্তরাষ্ট্র যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করত, সেই শারারকেই এখন স্বীকৃতি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিনিয়োগ ও সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত
মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের আশ্রয় না দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।
ইইউ-এর অবস্থান
এর আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ ‘আনফ্রিজ’ ও ব্যাংকিং খাতকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে আরও সময় লাগবে। কারণ কিছু অবরোধ কংগ্রেসের অনুমোদিত আইন হিসেবে বলবৎ আছে, যেগুলো তুলতে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন।