[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডো, ২৭ জনের মৃত্যু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিসৌরি, কেনটাকি এবং ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে এই ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে বহু বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং প্রায় দুই লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, শুধু এই রাজ্যেই শুক্রবার রাতের ঝড়ে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মিসৌরিতে আরও সাত জন এবং ভার্জিনিয়ায় গাছ ভেঙে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

টর্নেডোটি এলাকার ১০০ থেকে ২০০ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। কেনটাকির লন্ডন শহরের বাসিন্দা জেমি বার্নস জানান, তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে তারা বোনের বাড়ির বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বার্নস বলেন, ‘৩০ বছরের স্মৃতি মিশে থাকা জায়গাটা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, টর্নেডোর তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, গাছের কাণ্ড খালি পড়ে আছে, চারদিকে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন।

গভর্নর বেশিয়ার জানান, কেনটাকির পাঁচটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। সেন্ট লুইসে পাঁচজন এবং স্কট কাউন্টিতে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্টেট হাইওয়ে পেট্রোল।

মোট ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে এবং ওই অঞ্চলে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে এ অঞ্চলের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঝড়। ধ্বংসের মাত্রা হৃদয়বিদারক।’

কেনটাকির পূর্বাঞ্চল, যেটি ঐতিহাসিকভাবে কয়লা খনির জন্য পরিচিত, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলের একটি। বার্নস জানান, ‘এখানকার বেশিরভাগ বাড়িই টর্নেডো প্রতিরোধে উপযোগী নয়।’

তিনি আরও জানান, শহরের ৩৮ জন আহত এবং প্রায় ৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিবিএস-এর ফুটেজে দেখা গেছে, সেন্ট লুইসের একটি গির্জা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শনিবার সকালেও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রবল ঝড়ের পর এলাকাগুলোর বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নিজেদের হারানো ঠিকানা খুঁজে ফিরছেন।