রাজধানীতে বাসা ভাড়া লাগামহীন, দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের । রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া যেভাবে বাড়ছে সেটা ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। বিশেষ করে মুগদা. বাসাবো, মানিকনগর, কামরাঙ্গীরচরের মতো এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধা না বাড়লেও অনেক আধুনিক বহুতল ভবন গড়ে ওঠায় সেসব এলাকাও ছোটখাটো চাকরিজীবীদের জন্য অধরা হয়ে পড়ছে। (ঢাকা ট্রিবিউন ০৫-০৬-২০২৪)
মুগদা এলাকার ভাড়াটিয়া, বেসরকারি চাকরিজীবী সোহেল মিয়া বলেন, দুই রুমের একটি বাসার ভাড়া দিতাম ৮ হাজার টাকা। বাড়িওয়ালা প্রতিবছর ৫০০ টাকা করে ভাড়া বাড়াতো। এবার হঠাৎ করে ২ হাজার টাকা বাড়ানোয় আমার পক্ষে আর ওই ভবনে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এখন স্বল্প ভাড়ায় কোথায় বাসা পাই- তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছি।
রাজধানীতে বাসা ভাড়া লাগামহীন, দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের
রায়েরবাজার এলাকার ভাড়াটিয়া নবী মোহাম্মদ বলেন, এমনিতেই জিনিসপত্রের যে দাম, তারওপর বাড়িওয়ালা হুটহাট করে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। এগুলো এখন ‘গা সওয়া’ হয়ে গেছে। আসলে ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ দেখার মতো কেউ নেই। আমরা এক রকম জিম্মি। (রাইজিং বিডি ০৫-০৬-২০২৪)
শনির আখড়ার ভাড়াটিয়া জুনেদ বাবু বলেন, আমি একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি করি। দুই শিফটে ডিউটি করে ১৮-২০ হাজার টাকা পাই। বস্তির মতো একটা বাসায় থাকি, তাও ১২ হাজার টাকা ভাড়া। এরপর বাজার খরচ, ছেলেমেয়েদের স্কুলের বেতন কী ভাবে দেবো? এেেরচয়ে কম ভাড়ার বাসাও পাচ্ছি না। (সময়ের আলো ০৫-০৬-২০২৪)

মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকার ভবন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আলী আহমেদ বলেন, বাড়িওয়ালাদের ওপর ব্যাংক লোনের চাপ থাকে। অনেক ফ্ল্যাট মাঝেমধ্যেই খালি থাকে। কিন্তু খালি থাকলেও অনেক ইউটিলিটি বিল দিতে হয়। কাজেই বাড়িওয়ালারা যে খুব শান্তিতে থাকেন তা নয়। সেই সাথে বছর বছর বাড়ছে বিভিন্ন ট্যাক্স । তারপরও আমরা সদস্যদের বলে থাকি ভাড়াটিয়াদের কথা বিবেচনা করতে। (মিরপুর বার্তা ০৫-০৬-২০২৪)
ভাড়াটিয়া অধিকার পরিষদের নেতা আব্দুল জব্বার খান বলেন, বেশ কয়েকটি সংগঠন ভাড়াাটিয়াদের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে কাজ করলেও সুষ্ঠু সমন্বয়ের অভাবে সে রকম কার্যকর কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি রাজধানীর এলাকগুলো গ্রেডিং করে ভবন অনুযায়ী ভাড়ার একটি তালিকা করার। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথাও বলছি। (বণিক বার্তা ০৪-০৬-২০২৪)।
আরও দেখুনঃ