যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধের প্রেক্ষাপটে হংকং ঘোষণা দিয়েছে, তারা আরও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে।
দুবাইভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে পুরনো বিরোধ নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করে।
এই পরিস্থিতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেমন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, তেমনি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে পড়েছে। যদিও হার্ভার্ডে ভর্তির নিষেধাজ্ঞা আপাতত এক মার্কিন বিচারকের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
এরই মধ্যে হংকংয়ের শিক্ষা সচিব ক্রিস্টিন চোই জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা উন্মুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে হংকংয়ের শিক্ষা দপ্তর ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ সংখ্যার সীমাবদ্ধতাও শিথিল করা হয়েছে।’
হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইচকেইউএসটি) জানিয়েছে, হার্ভার্ডে বর্তমানে পড়ুয়া কিংবা ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তারা স্বাগত জানাবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষা যাত্রা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া, শর্তহীন ভর্তি ও একাডেমিক সহায়তা চালু করা হয়েছে।’
‘ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ অনুযায়ী, হার্ভার্ড বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে এইচকেইউএসটির অবস্থান ১০৫তম।
হার্ভার্ড প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘উগ্র উদারপন্থা ও ইহুদি বিদ্বেষের আঁতুড়ঘর’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হার্ভার্ডকে সহিংসতা উসকে দেওয়া, ইহুদি বিরোধিতা এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বেইজিং জানিয়েছে, ‘এ ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রেরই আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে।’
বর্তমানে হার্ভার্ডে প্রায় ১ হাজার ৩০০ চীনা শিক্ষার্থী রয়েছে, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক-পঞ্চমাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক চীনা শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। উচ্চশিক্ষার মানের কারণেই এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে আকর্ষণীয়।