ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলা, ইরাকের বাগদাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমির বাসভবনে ড্রোন হামলা করানো হয়েছে। রোববার ভোরে বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনাকে হত্যা করার চেস্টা বলে উল্লেখ করেছে ইরাকি সেনাবাহিনী। তবে প্রধানমন্ত্রী কাদিমি কোন ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তারা। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার যায়নি। খবর রয়টার্সের।
বাগদাদে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকা গ্রিন জোনে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ভবন ও বিদেশি দূতাবাসগুলোও এ এলাকায়।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলা
দুজন সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, কাদিমির বাসভবনে অন্তত একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ আছেন বলে তাঁরাও নিশ্চিত করেছেন। নিরাপত্তা সূত্রগুলোর কাছ থেকে জানা গেছে, হামলায় প্রধানমন্ত্রী কাদিমির ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাহিনীর ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দায়িত্বরত ছিলেন।
ইরাকি সেনাবাহিনী্রা তাদের এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, কাদিমির বাসভবনকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং ঘটনার পর কাদিমি সুস্থ আছেন। তবে বিবৃতিতে হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ আছেন। দেশের সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

গ্রিন জোনে হামলাস্থলের কাছে বসবাসকারী পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলেছেন, তাঁরা ওই এলাকায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনেছেন।
বিশ্লেষকদের অভিমত, অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ৬০০ বিক্ষোভকারীকে হত্যার জন্য এ গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
গত মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে যখন বাগদাদজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে, তখনই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এ হামলা হলো। ইরাকে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে গত কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
নির্বাচনে ইরান–সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী বেশির ভাগ আসনে পরাজিত হয়েছে। এরপর থেকে ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছেন তাদের সমর্থকেরা। গত শুক্রবার সে বিক্ষোভে সহিংসতা হতেও দেখা গেছে। এদিন পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। গ্রিন জোন এলাকার কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে বিক্ষোভকারীরা। সে সময় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়েছে। বাগদাদের হাসপাতাল ও নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এদিন অন্তত একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
আরও দেখুনঃ
- নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের
- অ্যাপ ভিত্তিক জেনারেটর সার্ভিস নিয়ে এলো এ সি আই মটরস্
- বিএনপি সহিংসতা আগুন সন্ত্রাস শুরু করলে রাজপথে মোকাবেলা করা হবে : ওবায়দুল কাদের
- রাজনীতি থেকে বিএনপির বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে : ওবায়দুল কাদের
- গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা ফটো গ্যালারি নতুন প্রজন্মকে অজানা অধ্যয় জানাচ্ছে
- আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি জন দুর্ভোগ বাড়াবে এটা তাদের বোঝা উচিত : প্রধানমন্ত্রী