এমএ মাতিন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

এমএ মাতিন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক যিনি সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এমএ মাতিন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

এমএ মাতিন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

মতিন আনু. ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

এম এ মতিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সদস্য ছিলেন। তিনি শাহজাদপুর থেকে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথমে জিয়াউর রহমান ও পরে এরশাদ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। দুই সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, যুব ও ক্রীড়া, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাবনা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের ব্যানারে সিরাজগঞ্জ-৭ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

কর্মজীবন

এম এ মতিন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসা সমিতির সভাপতি, বিএনএস চক্ষু হাসপাতাল ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সহ এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য ছিলেন তিনি।

পরিবার

এম এ মতিনের স্ত্রী তাসনিমা মতিনও চিকিৎসক। তার বড় ছেলে এম এ মুকিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক। ছোট ছেলে এম এ মুহিত এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শিল্পমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বড় জামাতা তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ভগ্নীপতি তিনি।

মৃত্যু

এম এ মতিন ১৩ জুন ২০১২ সালে ঢাকার রাজারবাগ ১১৬ শান্তিনগরের নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সিরাজগঞ্জের পারিবারক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

 

এমএ মাতিন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment