এল কে সিদ্দিকী | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

এল কে সিদ্দিকী ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ ও প্রকৌশলী। সাধারণ্যে তিনি এল কে সিদ্দিকী নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। চট্টগ্রাম-২ থেকে তিনি ৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৭ম ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এল কে সিদ্দিকী | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

এল কে সিদ্দিকী | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

এল. কে. সিদ্দিকী ১৯৩৯ সালের ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ রহমতনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল মনসুর লুৎফে আহমেদ সিদ্দিকী। তার স্ত্রীর নাম মাহমুদা সিদ্দিকী; তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তার ভাই এ.ওয়াই.বি আই সিদ্দিকী যিনি সাবেক কূটনীতিক, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬তম পুলিশ পরিদর্শক। 

শিক্ষাজীবন

সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালে সীতাকুণ্ড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকার আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারি -এ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

তিনি দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন এবং ১৯৮১-৮২ সালে বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও ২০০১ সালে পানিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সংসদে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

মৃত্যু

তিনি ৭৫ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ১ আগস্ট বেলা পৌনে ১১টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান।

সংসদ সদস্য:

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

এল কে সিদ্দিকী | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment