ডা. কাজী খাদেমুল ইসলাম (৩১ জানুয়ারি ১৯২৫-২৮ মার্চ ১৯৯০) বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও তৎকালীন শৈলকুপা উপজেলা নিয়ে গঠিত যশোর-১ বর্তমান ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
Table of Contents
কাজী খাদেমুল ইসলাম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
কাজী খাদেমুল ইসলামের জন্ম ৩১ জানুয়ারি ১৯২৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাখরবা গ্রামে। ১২ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। তার পিতা কাজী মফিজুল ইসলাম ইসলামী চিন্তাবিদ ও খ্যাতনামা পীর ছিলেন। তিনি শৈলকুপা হাইস্কুল থেকে ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। এর পর কলকাতা হোমিওপ্যাথিক কলেজ থেকেও ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে কলকাতার ক্যাম্পবেল কলেজ থেকে এলএমএফ পাশ করেন।
কর্মজীবন
কাজী খাদেমুল ইসলাম একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসক হিসাবে ১৯৪৮ সালে শৈলকুপায় কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ছিলেন শৈলকুপা থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠক।
তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে এবং বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার পরও তিনি ছিলেন শৈলকুপার থেকে বাংলাদেশের গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৎকালীন শৈলকুপা উপজেলা নিয়ে গঠিত যশোর-১ (বর্তমান ঝিনাইদহ-১) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৃত্যু
ডা. কাজী খাদেমুল ইসলাম ২৮ মার্চ ১৯৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ
- চলতি মাসেই বঙ্গবন্ধু টানেল আংশিক খুলে দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
- কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
- কাজী আকবর উদ্দিন আহম্মদ সিদ্দিক | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- কাজী আবুল কাসেম | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- কাজী আলাউদ্দিন | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- খেলাধুলায় সাফল্য অর্জনে আরো প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর