কাজী জহিরুল কাইয়ুম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

কাজী জহিরুল কাইয়ুম হলেন বাংলাদেশের একজন প্রাক্তন রাজনীতিক, যিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত মহান জাতীয় সংসদ সদস্য ও গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ এর চাচা। চৌদ্দগ্রাম চিওয়ার কাজী জহিরুল কাইয়ুম বাচ্ছু মিয়ার কথা কে না জানে! বোধে বিশ্বাসে বঙ্গ বন্ধুর একেবারে কাছের লোক ছিলেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি নয় শুধু, তিনি তুখোয় রাজনীতিবিদও ছিলেন।

কাজী জহিরুল কাইয়ুম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

কাজী জহিরুল কাইয়ুম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

দানশীল এ ব্যক্তির মনটা ছিল বিশাল সমুদ্রের মত। এদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়া ঘটনাবহুল বিষয়গুলো আজও প্রেরণা যোগায়। ভেবে বিমোহিত হই।

চিওড়া বাজার, কলেজ, মাদ্রাসা সহ কুমিল্লা জেলায় এদের অবদানের ফিরিস্তি শেষ করার মত নয়। অনেক দিন আগের কথা। চিওড়া বাজারে গোস্ত বিক্রেতাদের সাথে কাজী বাড়ীর ছেলেদের সাথে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেল। কাজীদের স্বত্তাধিকারী বাজারে খেটে খাওয়া এসব দরীদ্র মানুষগুোলোর হাতে অভিজাত্ পরিবারের ছেলেগুলোকে বাজারে এ ভাবে মার খেতে দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছে।

এক কথায়, কসাই নামের এ লোকগুলোর হাতে জহিরুল কাইয়ুমের বাড়ীর লোকজন সিরিয়াস মার খাওয়া মানেই মান ইজ্জত সব জলে যাওয়া। হয়েছেও তাই। সবার মুখে একই গুঞ্জন। রাগে ক্ষোভে কাজী বাড়ীর লোকজন অগ্নীস্মম্মা। দেখে মনে হল কসাইদের সবাইকে মেরে জেলে পুরে দেবে। এটি ওদের জন্য এক ঘণ্টার ব্যপার।

চিওড়ার কুরী পুকুর পাড়ে গড়ে তোলা বসতবাড়ীর এ লোকগুলো কাজী জহিরুল কাইয়ুমের জায়গা জমি চাষ করে দিনযাপন করে। এমনকি অনেকেই তার মালিকানাধিন কুমিল্লা হালিমা টেক্সটাইল মেইলে চাকরি করত।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ঘটনা অনেকটা বিস্ফোরম্মুখ। বড় ধরনের একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার শেষ প্রান্তে। শায়েস্তা করার জন্য কাজী জহিরুল কাইয়ুমকে খবর দেয়া হল। তিনি আসলেন। সবার সাথে মত বিনিময় করলেন। সবাই ভেবেছিল, এ দোর্দন্ড প্রতাপশালী শিল্পপতি কিছু একটা করেই ছাড়বে।

কাইয়ুম সাহেব দুপক্ষের কিছূ মুরব্বীকে নিয়ে বসলেন। বন্ধ দুয়ারে আলোচনা। কিছুক্ষণ পর ঘটনা শেষ। তিনি কোন এ্যাকশান না নিয়ে সমাধানের পথটাই এঁকে দিলেন।

কাজীর স্বজনদের আত্মীয়রা রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ল। অনেকটা বিদ্রোহের মত। সবার শ্রদ্ধেয় মুরব্বী ও দেশের বড় মাপের নেতা কাজী সাহেব এবার বাড়ীর লোকদের নিয়ে বসলেন। তিনি বলতে লাগলেন

– দ্যাখ। এরা গরীব। আমাদের জায়গা জমি চাষ করে খায়। এদের রক্তের ধ্বমনিতে আমার অনুদানের অনুকনা প্রবাহিত হচ্ছে। এরা আমার ভিটে মাটিতে ঘর করে ঘূমায়। আমি ইচ্ছে করলে এখনিই ওদের শেষ করে দিতে পারি। কিন্তু সামান্য হিংসার বহিপ্রকাশই কি সব সমস্যার সমাধান?

এদের শিক্ষা দেবার জন্য কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কাজী বাড়ীর লোকেরা এ প্রতিশোধটি নিয়ে বসলে আমাদের অর্জিত অতীতের সব অর্জন ধূলোয় মিশে যাবে। ওরাও কাল থেকে তোমাদেরকে পথে প্রান্তরে খুন করবে। তাহলে এদের মাঝে আর আমাদের মাঝে পার্থক্যটা কোথায় থাকল?… কাজেই তোমরা কোনটা চাও।

..কাজী জহিরুল কাইয়ুমের এ মহানুভবতা, ক্ষমা কিংবা বিশাল মনের অভিব্যক্তি যেন খেটে খাওয়া এ দরীদ্র মানুষগুলোকে আজীবনের জন্য অনুগত করে দিল। ওরা আবারও হেরে গেল এ মহান নেতার রাজনীতি আর মহানুভবতার কাছে। এলাকার মানুষেরাও ভাবতে শূরু করল –

শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান

কাজী জহিরুল কাইয়ুম ১৯৬৯ সালে চিওড়া সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত। 

 

কাজী জহিরুল কাইয়ুম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সংসদ সদস্য:

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment