নূরুল ইসলাম তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

নুরুল ইসলাম তালুকদার (১ জুলাই ১৯৫০) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বগুড়া-৩ আসনের সংসদ -সদস্য। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ -সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নূরুল ইসলাম তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

নূরুল ইসলাম তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

মো. নূরুল ইসলাম তালুকদারের পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বড়নীলাহালী গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল থেকে গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন ও পরবর্তীতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

কর্মজীবন

পেশায় আইনজীবী নুরুল ইসলাম তালুকদার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি টানা দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। নুরুল ইসলাম তালুকদার জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

সংসদ -সদস্য

সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ -সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

 

নূরুল ইসলাম তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ- সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

অবস্থান

সংসদ -সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ -সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ -সদস্য হন। সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment