Site icon জিলাইভ [ GLive ] | truth alone triumphs

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ।আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে নতুন প্রবৃদ্ধির হার প্রকাশ করেছে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ি, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। আগে এই হার নির্ধারণ করেছিল ৬.৫ শতাংশ। গতকাল প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক আউটলুকে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। 

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে আইএমএফ মনে করে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মূদ্রার সংকটে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কম হবে। তবে বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির হার ভারত ছাড়া বিশ্বের সকল উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। 

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ

আইএমএফের রিপোর্টে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আগামীতে কমে যাবে বলে বলা হয়েছে। তাদের হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে এটি কমে ৫.৯ শতাংশ হবে। আর ২০২৪ সালে এটি হবে ৪.৮ শতাংশ। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও অনেক দেশ এই সুবিধা নিতে পারবে না। যারা এই সুবিধা নিতে পারবেনা তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তাদের হিসাবে যেসব দেশ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির সুবিধা নিতে পারবেনা তাদের মূল্যস্ফীতি কমবে ২০২৫ সালে।  এই হিসাবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কমবে ২০২৫ সালে। 

আইএমএফ ভারতের ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির হারকে দ্রুত প্রবৃদ্ধি বলে উল্লেখ করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধির হার এই সময়ে হবে ৬.৩ শতাংশ। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কিছু কমবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ২.৯ শতাংশ। এর আগের বছর যা ছিল ৩ শতাংশ। 

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দেশের প্রবৃদ্ধি হিসাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৫ শতাংশ, কানাডার ১.৬ শতাংশ। চীনের প্রবৃদ্ধি ৪.২ শতাংশ,ফ্রান্সের ১.৩ শতাংশ। 

বাংলাদেশ নিয়ে আইএমএফের প্রবৃদ্ধির নতুন হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড.আরএম দেবনাথ বলেন, ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এটিও কম নয়। মোটামোটি এই সময়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে এমনটা বলা যাবেনা। তবে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে যে বিষয়টি বলা হয়েছে এটি উদ্বেগের।

 

 

কারণ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মানুষের আয়ের সমন্বয় করা হয়নি। আবার বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি যখন কম হবে তখন বাংলাদেশ সেই সুযোগ নিতে পারবেনা। এটা এখানে অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে পারে। তাতে আখেরে ক্ষতি হবে অর্থনীতির।

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version