শামীম কায়সার লিংকন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

শামীম কায়সার লিংকন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন রাজনীতিবিদ এবং গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ২০০৬ সালের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শামীম কায়সার লিংকন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

 

শামীম কায়সার লিংকন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

শামীম কায়সার লিংকন ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আবদুল মোত্তালিব আকন্দ মাতা মৃত আফরোজা আনার বিলকিস।

শিক্ষা জীবন

শামীম কায়সার লিংকন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন ১৯৯৫ সালে। তিনি ১৯৯৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শ্রেষ্ঠ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ থেকে ২০০৩ সালে বিবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ম্যালয়েশিয়ার আইআইএফ থেকে আইসিটিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর এনআইআইটি থেকে ২০০০ সালে দুই বছর মেয়ার্দী নেটওয়ার্ক ফাইন্যান্স এন্ড এমআইএসে ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

পেশায় ব্যবসায়ী শামীম কায়সার লিংকন এমবিএ অধ্যয়নরত অবস্থায় পিতার মৃত্যুর পর ২০০৬ সালে উপনির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

ইতিহাস

 

শামীম কায়সার লিংকন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রতিষ্ঠা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন।

বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।  ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।

২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুন:

Leave a Comment