চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা ও সাবেক সাংসদ ছিলেন। তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও পারিবারিক জীবন

ফরিদপুর জেলার বাঙালি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কামাল ইউসুফের পিতামহ ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজউদ্দীন বিভাশ । তার পিতা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) ব্রিটিশ শাসনামলে একজন বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা এবং পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। তার চাচা চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দীন (লাল মিয়া) রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সরকারে মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং অন্য চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তার ভাই চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেতা।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুরএবং চরভদ্রাসন) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ২০০২ সালের উপ-নির্বাচন সাংসদ নির্বাচিত হন।

মৃত্যু

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে বনানীর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

 

চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment