This post is also available in:
বাংলাদেশ
English
তথ্যমন্ত্রী: বরেণ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. এনামুল হকের মৃত্যু জাতির জন্য বেদনার, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ব ও শিল্পকলা গবেষক এবং বহুগুণে গুণান্বিত ড. এনামুল হকের মৃত্যু জাতির জন্য বেদনার। তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। উল্লেখ্য গত ১০ জুলাই ড. এনামুল হক রাজধানীর নিজ বাসভবনে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
ড. এনামুল হকের মৃত্যু সর্ম্পকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, ভারতের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত ড. এনামুল হক একজন বরেণ্য মানুষ ছিলেন। তিনি বহুবছর জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ছিলেন, এর আগে ঢাকা জাদুঘরের দায়িত্বও পালন করেছেন।
তিনি শুধু দেশে অবদান রেখেছেন তা নয়, বিদেশেও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এমন বরেণ্য মানুষকে যদি আমরা আরো কিছুদিন পেতাম, তিনি জাতীয় জীবনে আরো অবদান রাখতে পারতেন। ড. হাছান প্রতœতত্ত্ববিদ এনামুল হকের প্রয়াণে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানান, প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবার যাতে শোক সইতে পারে, স্রষ্টার কাছে সেই প্রার্থনা জানান। মন্ত্রী বলেন, ড. এনামুল হকের জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তার কাছ থেকে যারা যে শিক্ষাগুলো পেয়েছেন সেগুলো কাজে লাগিয়ে তারাও জাতীয় জীবনে অবদান রাখতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি তার বক্তৃতায় প্রয়াত ড. এনামুল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার জান্নাতবাসের জন্য প্রার্থনা জানান। মন্ত্রী বলেন, ড. এনামুল হক এতো গুণী মানুষ হয়েও অত্যন্ত সদালাপী ছিলেন। দেশের প্রতœতাত্ত্বিক অঙ্গণ নানা ক্ষেত্রে তার কাছে ঋণী হয়ে রয়েছে।
প্রয়াত এনামুল হকের কন্যা কবি তৃণা হক, জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, পরিচালক ড. শিহাব শাহরিয়ার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফুল্লাহ চৌধুরী, বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের পরিচালক মাহবুব আলম প্রমুখ এসময় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। উপস্থিত সকলের পুষ্পস্তবকে ঢেকে যায় ড. এনামুল হকের কফিন। এরপর জেলা প্রশাসনের গার্ড অভ অনার প্রদান ও জানাজা শেষে তার মরদেহ নিজ জেলা শহর বগুড়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে রওনা হয় প্রয়াতের স্বজনেরা।
তথ্যমন্ত্রী আজ অপরাহ্নে সচিবালয়ে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তরসমূহের কর্মসূচি চূড়ান্তকরণ সভা’য় সভাপতিত্ব করেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি গণমাধ্যম এবং জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা, বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার, দিবসটি উপলক্ষ্যে পোস্টার প্রকাশ ও দেশে এবং বিদেশে বিতরণসহ ব্যাপক কর্মপ্রস্ততি সভায় চূড়ান্ত করা হয়। সচিব মো: মকবুল হোসেনের পরিচালনায় মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানগণ সভায় যোগ দেন।
আরও দেখুনঃ
- ওবায়দুল কাদেরঃ পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছেন
- ওবায়দুল কাদেরঃ আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের রাজনীতি করে
- প্রধানমন্ত্রী: কেউ যেন কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে
- ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাসে ১০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের প্রত্যাশা সওজের
- প্রধানমন্ত্রী: আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায়
- প্রধানমন্ত্রী: আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায়
- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পদ্মাসেতু জাদুঘর নির্মাণের, একনেকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন