নুরুল আমিন তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

নুরুল আমিন তালুকদার যিনি এন আই খান নামেও পরিচিত। একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ -সদস্য ছিলেন। তিনি ৬ষ্ঠ, ৭ম, ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৩ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নুরুল আমিন তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

নুরুল আমিন তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

নুরুল আমিন তালুকদার ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে আটপাড়ার দেওশ্রী গ্রামের তালুকদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল মৌলা তালুকদার ও মাতার নাম খুর্শেদা মৌলা তালুকদার। ১৯৬০ সালে তিনি জাহাঙ্গীরপুর টি আমীন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন।

কর্মজীবন

১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এম.এ. প্রথম পর্বে পড়ার সময়ে তিনি সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (পুলিশ) যোগদান করেন। নুরুল আমিন তালুকদার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন, তিনি কোম্পানি কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

১৯৯২ সালে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। তিনি ১৯ জুন ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন এবং জাতীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তালুকদার ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ১,০৩,১২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ৭ম জাতীয় সংসদের পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আবারও অংশগ্রহণ করেন এবং ৭০,৯৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তালুকদার একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন, তিনি রেইনবো গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৭৫ সালের ১১ আগস্ট তিনি শিল্পপতি গোলাম কাদেরের বড় মেয়ে খাদিজা কাদেরকে বিয়ে করেন। তাদের ৩ ছেলে হয়েছিল রায়হান আমীন রনি, ফারহান আমীন রবিন এবং আদনান আমীন ইভান।

মৃত্যু

তিনি ৪ জুন ২০০৩ সালে নয়াদিল্লীর স্কট হার্ট ইন্সটিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ -সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

 

নুরুল আমিন তালুকদার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের -সদস্যই এমপি বা সংসদ -সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ- সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

আরও দেখুন:

Leave a Comment