নেছার আহমদ একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য। নেছার আহমদ মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
Table of Contents
নেছার আহমদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
নেছার -আহমদের জন্ম মৌলভীবাজার জেলায়।
রাজনৈতিক জীবন
নেছার- আহমদ ১৯৭৭ সালের শেষের দিকে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৪ সালে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৮৯ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ১১তম সাধারণ নির্বাচন, যা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয় পায়। ৮ নভেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় ২৩শে ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলেও ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিলে তা পিছিয়ে ৩০শে ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়।
নির্বাচনে বাংলাদেশের বড় দুটি দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে। ১,৮৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যার মধ্যে ১২৮ জন স্বতন্ত্র।
এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন কমিশন আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে উক্ত আসনে ভোটগ্রহণের পুনঃতফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১০,৪১,৯০,৪৮০ জন; যার মধ্যে ৫,২৫,৪৭,৩২৯ জন পুরুষ ও ৫,১৬,৪৩,১৫১ জন নারী ভোটার।
ভোটারগণ ৪০,১৯৯টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ৬টি নির্বাচনী আসনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ করা হয়।ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো হলো, ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ২০২০ সালের ১১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি প্রতিবেদনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়।[৭] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রতিবেদনকে একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।
আরও দেখুনঃ
- খেলাধুলায় সাফল্য অর্জনে আরো প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
- বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলার আইএমএফ ঋণ পাচ্ছে : কামাল
- কাজী কানিজ সুলতানা | বাংলাদেশি -রাজনীতিবিদ
- কাজী আলাউদ্দিন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
- কাজী আবুল কাসেম | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
- গোপালগঞ্জে করোনা টিকা প্রয়োগে উদ্বুদ্ধকরণে প্রচার