মিয়া গোলাম পরওয়ার (জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল । এর পূর্বে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত তিনি জামায়াতের নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। গোলাম পরওয়ার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
Table of Contents
মিয়া গোলাম পরওয়ার । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রারম্ভিক জীবন
গোলাম পরওয়ার ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৯ সালে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলাযর শিরোমণি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে বি এল কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে বিকম. ও এমকম. পাশ করার পর অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
পরওয়ার ১৯৭৪ সালে তিনি জাসদ ছাত্রলীগে যোগদান করে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে ছাত্র থাকাবস্থায় জামায়াতের সহযোগী ছাত্র সংগঠনে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে ছাত্রশিবিরের খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খুলনা মহানগরে জামায়াতের আমীর এবং ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মনোনীত হন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসনে ১৯৯১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিশ দলীয় জোট থেকে একই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। কিন্তু নির্বাচনের দিন তার কর্মীদের “ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া, দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের” কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। দলটি ইকামতে দ্বীন (ধর্ম প্রতিষ্ঠা) নামক মতাদর্শকে মূলভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে এবং একে “রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা” অর্থে দলীয় ও রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে। এটি পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর একটি শাখা এবং তা মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড-এর আদর্শ ধারণ করে। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনা ও সংবাদমাধ্যমের পরিমণ্ডলে আলোচ্য সংগঠনটিকে ‘জামায়াত’ বলেও উল্লেখ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (পূর্বেকার নাম: ইসলামী ছাত্র সংঘ)-এর একটিকে বোঝাতে ‘জামায়াত-শিবির’ শব্দদ্বয় ব্যবহৃত হয়। জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী, এই দুই সংগঠনের অঙ্গ ও সমমনা সংগঠনসমূহের কর্মী, এদের সবকয়টির সমর্থকগোষ্ঠী – এদের সবাইকে বোঝাতে ‘জামায়াতি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও দেখুনঃ