আফতাব উদ্দিন সরকার | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আফতাব উদ্দিন সরকার (জন্ম: ৬ এপ্রিল ১৯৫০) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।

আফতাব উদ্দিন সরকার | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

আফতাব উদ্দিন সরকার | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

আফতাব উদ্দিন সরকার ১৯৫০ সালের ৬ এপ্রিল নীলফামারী জেলার ডিমলা বাবুর হাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ইমাজ উদ্দিন সরকার ও মাতা নাসরিন বেগম। আফতাবের পিতা ১৯৪৭ ভারত বিভাগের সময় ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। ১৯৭১ সালে তিনি একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন

আফতাব ১৯৭৩-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ডিমলা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৭ সালের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ডিমলা উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে পুনরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলে তিনি আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আফতাব ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার ডিমলা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

সমালোচনা

আফতাব উদ্দিন সরকার তার নিজের জামাই ও ভাতিজার নেতৃত্বে আগুন খাওয়া টিম তৈরি করেছেন, এলাকায় তার বিরোধীদের দমন ও নির্যাতনের জন্য।

সংসদ সদস্য সম্পর্কে তথ্যঃ

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

আফতাব উদ্দিন সরকার | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment