আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ হলেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি বরিশাল-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও পরিচয়

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ১৯৪৪ সালের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে হত্যা করেছিল। সেদিন তার মা, সহোদর এবং জ্যেষ্ঠ সন্তানকেও হত্যা করেছিলো ঘাতকরা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। তার ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।

কর্মজীবন

হাসানাত আবদুল্লাহ ১৯৭৩ সালে বরিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২৬ জুন ২০০০ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। হাসনাত আবদুল্লাহ ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন।

৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে হাসনাত আবদুল্লাহ তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন, যা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

সংসদ সদস্য:

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment