আব্দুল মুত্তাকিম চৌধুরী বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ও তৎকালীন সিলেট-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
Table of Contents
আব্দুল মুত্তাকিম চৌধুরী | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
আব্দুল মুত্তাকিম চৌধুরী মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার হাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তজম্মল আলী চৌধুরী।
রাজনৈতিক জীবন
আব্দুল মুত্তাকিম চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে এমএলএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন সিলেট-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চৌধুরী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে এমন একটি বিধান রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে সংসদ সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কার করা হলে সংসদ থেকেও তাদের বহিষ্কারের অনুমতি দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার পর তিনি জাপান ও জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
- জনসমাগম কাকে বলে আগামীকাল থেকে বিএনপিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
- আব্দুল মজিদ খান | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- পায়রা সমুদ্রবন্দরকে বিশ্বমানের করতে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আব্দুল মতিন চৌধুরী | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- আব্দুল মতিন খসরু | বাংলাদেশি-রাজনীতিবিদ
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন : ওবায়দুল কাদের