এম মোরশেদ খান (জন্ম ৮ আগস্ট ১৯৪০) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের বিএনপি থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। সিটিসেল, প্যাসিফিক মোটরস, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ ও সম্পত্তি রয়েছে।
Table of Contents
এম মোরশেদ খান | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
মোরশেদ খান ১৯৪০ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা চট্টগ্রামেই অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি জাপানের টোকিও কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ইন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা করেন।
রাজনৈতিক জীবন
মোরশেদ খানের পরিবার ছিল একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার। তিনিও পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ও বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও তিনবার (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, জুন ১৯৯৬ ও ২০০১) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ছিলেন এবং একই সাথে বাংলাদেশ স্পেশাল কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্স-এর চেয়ারম্যানও ছিলেন। মোরশেদ খান ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন।
মোরশেদ ৫ নভেম্বর ২০১৯ সালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দলের সকল পদবীসহ সাধারণ সদস্যপদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
সমালোচনা
মোরশেদ দম্পতি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেশের বাইরে ৩২১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তে মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়।
মামলায় বলায় মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন।
মামলায় মোরশেদ খান এবং তার ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের নামে হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব বন্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া রায় ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বহাল রাখেন। তাদের টেলিকম সিটিসেল প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি এর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরে ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হলেও যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়।
আরও দেখুনঃ