ওসমান ফারুক | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

ড. ওসমান ফারুক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কর্মজীবন

ড. ওসমান ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেখানে অপারেশন ও মার্কেটিং বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দেন । বিএনপির হয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া সরকারের মন্ত্রীসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ।

১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ড. ওসমানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে তদন্ত করা হয়েছিলো ।  তিনি যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। 

ওসমান ফারুক | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

ওসমান ফারুক | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

শিক্ষা জীবন

ওসমান ১৯৫৬ সালে সেন্ট গ্রেগরীজ স্কুলে থেকে মেট্রিকুলেশন, ১৯৫৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ সালে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক সম্মান ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬৩ সালে তিনি মার্কিন সরকারের অধীন বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএইড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম-এ অংশ নেন। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। 

ব্যক্তিগত জীবন

ডঃ এম ওসমান ফারুকের পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়ন এর বৈরাটিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি ১৯৪০ সালের ১৮ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ ওসমান গনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার মা শামসুন নাহার গনি।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

 

ওসমান ফারুক | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment