মজিবুর রহমান ফকির । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মজিবুর রহমান ফকির (৭ জানুয়ারি ১৯৪৭ – ২ মে ২০১৬) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। যিনি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ-৩ থেকে নির্বাচিত সাংসদ।

মজিবুর রহমান ফকির । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মজিবুর রহমান ফকির । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

মজিবুর রহমান ফকির ৭ জানুয়ারি ১৯৪৭ সালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোজাফফর আলী। তিনি ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হন। তারপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেডিকেল কোরে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ শহরের নাসিমা নার্সিংহোমের প্রতিষ্ঠাতা।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

সামরিক বাহিনীতে থাকা অবস্থায় তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ডেপুটেশনে মালয়েশিয়ায় ছিলেন। তিনি একাধারে প্রায় দুই যুগ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১, ২০০৬, ২০০৮ সালে তিনি ১৪৮-ময়মনসিংহ-৩ আসনে সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ( ২০০১) জয়ী হওয়ার পর তিনি বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

মৃত্যু

মজিবুর রহমান ফকির ২ মে ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ কন্যা, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

মজিবুর রহমান ফকির । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment