মুহম্মদ আশরাফ আলী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মুহম্মদ আশরাফ আলী (জন্ম: অজানা – মৃত্যু: ২২ জানুয়ারি ২০১৫) হলেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি বাকশাল গঠনের পর তৎকালীন সিলেট-৬ আসনে (বর্তমান সিলেট-২) ১৯৭৫ সালের উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

মুহম্মদ আশরাফ আলী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মুহম্মদ আশরাফ আলী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

মুহম্মদ আশরাফ -আলী ব্রিটিশ ভারতের আসামের সিলেট জেলার (বর্তমান বাংলাদেশ) ওসমানী নগরে জন্মগ্রহণ করেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

সৈয়দ মুহম্মদ আশরাফ -আলী ১৯৬৮ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি।

১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের পর তৎকালীন সিলেট-৬ আসনেের (বর্তমান সিলেট-২) সংসদ সদস্য মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

মৃত্যু

মুহম্মদ আশরাফ আলী ২২ জানুয়ারি ২০১৫ সালে সিলেট শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে দরগাহ কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

মুহম্মদ আশরাফ আলী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরো দেখুন:

Leave a Comment