বেগম শামসুন নাহার খাজা আহ্সান উল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

শামসুন নাহার খাজা আহ্সান বাংলাদেশের একজন প্রগতিশীল রাজনীতবিদ যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য। তিনি একাধারে সাবেক সাংসদ এবং ঢাকা নওয়াব পরিবারের সদস্য।

বেগম শামসুন নাহার খাজা আহ্সান উল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

বেগম শামসুন নাহার খাজা আহ্সান উল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জীবনী

শামসুন্নাহার খাজা আহসানুল্লাহ ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী -দল থেকে। তিনি ১৯৯৬ এ পুনঃনির্বাচিত হন ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচনে। এ সাধারণ নির্বাচনটি বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং আরেকটি নির্বাচন আহ্বান করা হয় ১৯৯৬। তিনি ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী -দল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার উপদেষ্টা ছিলেন।

২০০৮ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে, তিনিসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী -দলের ৮৬ জন সাবেক রাজনীতিবিদের সাথে এই রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়াকে সমর্থন করেন।

বেগম আহসানুল্লাহকে কারাবরণ করতে হয়েছিল সেনাসরকারের ক্ষমতায়নের সময়। রাজনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি সলিমুল্লাহ অনাথাশ্রমের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯৭৮ এ তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে।  প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

শামসুন্নাহার খাজা আহসানুল্লাহের অর্ধাঙ্গ ছিলেন নওয়াবজাদা খাজা আহসানুল্লাহ (১৯১৫-১৯৮১)।  তিনি ছিলেন ঢাকার নওয়াব স্যার খাজা সলিমুল্লাহর নাতি।  এই দম্পতির এক পুত্র; খাজা জাকি আহসানুল্লাহ এবং দুই কন্যা; ফৌজিয়া আহসানুল্লাহ এবং আয়েশা আহসানুল্লাহ। তার ডাকনাম “ডলি”, এ নামে তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের কাছে প্রিয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী -দল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী -দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী-দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী- দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন।

বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী- দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী- দলের যাত্রা শুরু করেন।

 

বেগম শামসুন নাহার খাজা আহ্সান উল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।

২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment