ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে আটক থাকা জীবিত ইসরায়েলি বন্দিদের আজ মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার সকালে ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান এক বিবৃতিতে জানান, জীবিত ২০ জন জিম্মিকে একসঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে যেভাবে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, এবারও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
মুক্তির ধাপগুলো হবে নিম্নরূপ:
ধাপ | দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা | কার্যক্রম |
১ম ধাপ | হামাস | জিম্মিদের আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (ICRC) কাছে হস্তান্তর করবে |
২য় ধাপ | আন্তর্জাতিক রেডক্রস | জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে |
৩য় ধাপ | ইসরায়েলি সেনাবাহিনী | বন্দিদের গাজায় অবস্থিত ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে |
৪র্থ ধাপ | ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ | বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটানো হবে |
ইসরায়েলি জিম্মিদের ফেরত পাওয়ার পর, ইসরায়েল দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিও রয়েছেন।
তবে, ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেলা খ্যাত জনপ্রিয় নেতা মারওয়ান বারঘৌতি এই মুক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নন।
যুদ্ধবিরতি ও চুক্তি
গত শুক্রবার থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
এই মুক্তি প্রক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।