আমাদের দেশে কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা আমাদের কাছে আসে। দেখেন, আমেরিকার কত লোক আসছে আমাদের কাছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের মিশনে এসে দেখা করেছে। আমরা যাই না, আমরা তাদের হাউজে যাই না। তারা এসেছে আমাদের দপ্তরে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের পাঁচটি সুপারিশ বিষয়ে মোমেন বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে। দিস ইজ ওয়েলকাম। সব সময় আমরা সংলাপ করে যাচ্ছি বিভিন্ন দলের সঙ্গে। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। তারাও সংলাপ করুক, তারা যদি চায়।
আমাদের দেশে কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা একটা স্বাধীন কমিশন তৈরি করেছি যেটা তারা বলেছে। সুতরাং এটার সঙ্গে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষক দলের কোনো ভূমিকা নেই। তারপরও দেশটির লোক এসে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের কথা বললে সেটি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেই। কিন্তু সে দেশগুলো ভালো চলছে।
বিদেশিদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশের লোকেরা এসে সাক্ষাৎ করছেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য। সেই ফাঁকে কেউ কেউ নির্বাচনের কথা বলেন।

সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা সব সময় বলি, আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করতে রাজি আছি এবং করেও থাকি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে ছোট পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, তারা ছোট দল পাঠাবে। তারা বলছে, ওই ছোট দলের খরচ আমরা দেব। আমরা এটাতে খুব আগ্রহী না। আমরা এখনো কোনো উত্তর দিইনি।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নয়, ভোটার দরকার জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষকের দরকার নেই।
বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে মোমেন বলেন, দ্যাট ইজ ইমমেটেরিয়াল। মানুষ যদি ভোট দেয়, ওটাই আমার জন্য যথেষ্ট।
আরও দেখুনঃ