আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার হলেন বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ২৫৪ নং (কুমিল্লা-৬) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ-সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ-সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।
Table of Contents
আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন-বাহার ১৯৫৪ সালের ১৯ মে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ। কুমিল্লা পৌরসভার দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

জাতীয় সংসদ সর্ম্পকে তথ্যঃ
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনের একটি। রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। যেখানে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার ও সংসদ সদস্যদের কার্যালয়।
১৯৬১ সালে ৯ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান। সংসদ ভবন এলাকাকে প্রধান ভবন, দক্ষিণ প্লাজা ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সংসদের পেছন দিকে ক্রিসেন্ট লেক নামে একটি নান্দনিক জলাধার রয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ-সদস্যদের আসন সংখ্যা ৩৫৪, অতিথি আসন সংখ্যা ৫৬, কর্মকর্তা আসন সংখ্যা ৪১, সাংবাদিক আসন সংখ্যা ৮০ এবং দর্শক আসন সংখ্যা ৪৩০।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব এক্ষেত্রে প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
সদস্যরা তাদের নিজ নিজ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকাংশের ভোটে নির্বাচিত হন। সদস্যগণ ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। তারা নিরপেক্ষ বা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অধিভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। কিন্তু দেশের সংকটকালে সংবিধান সমুন্নত রাখতে আইন পাসের মাধ্যমে এ মেয়াদের হেরফের হতে পারে।
আরও দেখুনঃ