সিলেট নগরীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিলেট নগরীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে সিলেট সিট করপোরেশন (সিসিক)।

আজ বৃহস্পতিবার ঈদের দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোারবানির যাবতীয় বর্জ্য  অপসারণের করতে লক্ষ্য নির্ধারণ করছিল (সিসিক) কর্তৃপক্ষ। তবে নির্ধারিত ২৪ ঘন্টা সময়ের আগে অর্থাৎ ১০ ঘন্টার মধ্যেই সিলেট নগরীরর ৪২ টি ওয়ার্ডে জবাইকরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

 

সিলেট নগরীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

 

সিলেট নগরীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

এতে সিসিকের  ৩ স্তরে প্রায় ৩২ শ’র বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে সিসিক। এবারের ঈদে নগরীর মোট ৪২ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কাজে ১০টি টিম মাঠে কাজ করে। এছাড়াও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দিনব্যাপী নগরীর বিভিন্নস্থানে মাঠে থেকে একাজ নিজে তদারকি করতে দেখা যায়। যার ফলে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিসিক এলাকার কোরবানির যাবতীয় বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সুত্র জানায়, বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুরো নগরীকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সিসিক। সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য অপসারণ কাজ সম্পন্ন করতে সিসিকের বিশেষ মনিটরিং টিমও আজ ঈদেরদিন সকাল থেকে মাঠে নিয়োজিত ছিল। বর্জ্য অপসারণের পরপর জীবানুমুক্তকরণে নগরজুড়ে জীবাণুনাশকও ঔষধও ছিটানো ও স্প্রে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক’র পরিচ্ছন্নতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান।

ঈদ উপলক্ষে এবারে নগর পরিচ্ছন্নতার কাজে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান, সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল হক, সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী রজি উদ্দিন খান, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সার্বক্ষনিকভাবে মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।

 

সিলেট নগরীতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ

 

এপ্রসঙ্গে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাসস’কে বলেন, ঈদ উপলক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির  বর্জ্য নগরী থেকে অপসারণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। এতে আমরা সিসিক কর্তৃপক্ষ অতীতে যেমনি সফল ছিলাম এবারও সফল হয়েছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই নির্ধারিত সময়ের ১৪ ঘন্টা আগেই আমরা সিসিক এলাকার যাবতীয় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারনে সক্ষম হয়েছি। তিনি একাজে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment