গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ হতো : সরকারি দল

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ হতো : সরকারি দল । জাতীয় সংসদ যদি প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে পারতো, তবে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নত এবং শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হতো।জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আনীত এক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একথা বলেন।

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ হতো : সরকারি দল

সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করলেও দুর্ভাগ্যবশত ৫০ বছর সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ছিল না। সামরিক স্বৈরশাসকদের থাবায় সংসদ সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা বার বার হোঁচট খেয়েছে।’

 

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ হতো : সরকারি দল
জাতীয় সংসদ

 

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংসদ যদি নিজস্ব ধারায় শান্তিপূর্ণভাবে চলতে পারতো, তাহলে দেশ হতো বিশ্বের অন্যতম সেরা গণতান্ত্রিক দেশ।’১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সংসদীয় গণতন্ত্রকে বিভিন্ন সময় বিপন্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জিয়া-মোশতাক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর চার বছর সংসদকে অচল করে রাখে। এরপর এরশাদের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের অগণতান্ত্রিক সরকার জাতীয় সংসদকে কারাগারে পরিণত করেছে। তাদের সকলের লক্ষ্যবস্তু ছিল সংসদকে অকার্যকর করা।’

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের পর ১৫ মিনিটের বিরতির পর আজ আবার সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।প্রস্তাবটি উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সংসদীয় গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সংসদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
সাধারণত সংসদের চিফ হুইপ বা কোনও সিনিয়র সংসদ সদস্য ১৪৭ ধারার অধীনে কোন গুরুত্বপূর্ণ বা জনস্বার্থের বিষয়ে সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য প্রস্তাব আনেন। তবে ইস্যুটির তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু  আলোচনায় অংশ নেন। আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। যারা আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তাদের দলীয় গঠনতন্ত্রেই গণতন্ত্র নেই। ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি-জামায়াতের আশির্বাদপুষ্টদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল।

 

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক দেশ হতো : সরকারি দল
জাতীয়

 

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment