মো. ছলিম উদ্দীন তরফ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
Table of Contents
ছলিম উদ্দীন তরফদার | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
মো. ছলিম উদ্দীন তরফদারের পৈতৃক বাড়ি নওগাঁ জেলার, মহাদেবপুর উপজেলার অন্তর্গত চেরাগপুর ইউনিয়নের আজিপুর গ্রামে। তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন
মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি পরপর অনেকবার চেরাগপুর ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর পরে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে মহাদেবপুর -বদলগাছি আসনের নওগাঁ -৪৮/৩ এ। ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে অংশগ্রহন করেন। এবং নৌকা প্রার্থি ড.আকরাম হোসেন চৌধুরীকে পরাজিত করেন। তিনি মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে অংশগ্রহন করেন, এবং দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিঁনি মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং মহাদেবপুর – বদলগাছি, আসনের সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ