জাকির হোসেন (জন্ম: ২ জুলাই ১৯৬৬) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ যিনি কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
Table of Contents
জাকির হোসেন | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
জাকির হোসেন ২ জুলাই ১৯৬৬ সালে কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত সামসুল হক এবং মাতা মৃত জুলেখা বানু। তার স্ত্রী মোছাঃ সুরাইয়া সুলতানা, তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা।
তিনি এ.ইউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কে এসএসসি পাশ করে রাজাহাট মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি এবং লালমনিরহাট হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর রংপুর আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
জাকির হোসেন ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করে ১৯৮১ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৮২ সালে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৮৩-১৯৮৫ সালে রৌমারী উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহব্বায়ক ও সভাপতি, ১৯৮৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯০ সালে রৌমারী উপজেলা শাখা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও ২০১৫ সাল হতে রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
৭ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ