দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রাষ্ট্র-পরিচালিত ডেটা সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে শত শত সরকারি অনলাইন সেবা ব্যাহত হয়েছে। এ ঘটনায় নাগরিকদের ভোগান্তির জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিম মিন-সিওক শনিবার আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অগ্নিকাণ্ড ঘটে শুক্রবার রাতে, সিউল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত দেইজিওন জাতীয় তথ্য সম্পদ পরিষেবার ডেটা সেন্টারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সেন্টারের লিথিয়াম ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় আইটি সিস্টেম সংরক্ষণ করা ছিল।
শনিবার সকালে সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ফোনে একাধিক জরুরি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। এতে জানানো হয়: কিছু পোস্ট অফিস অনলাইন সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ১১৯ জরুরি সহায়তা ব্যবস্থা কেবল ফোন কলের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, ভিডিও বা টেক্সট সেবা ব্যবহারযোগ্য নয়।
প্রধানমন্ত্রী কিম মিন-সিওক বলেন: “জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইটি সিস্টেম একটি মাত্র স্থানে কেন্দ্রীভূত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন:“নাগরিক আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ও সার্টিফিকেট ইস্যুতে বিলম্ব হতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করছে। এই অসুবিধার জন্য আমি জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৪৭টি সরকারি অনলাইন সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ক্ষতিগ্রস্ত সেবা | বিবরণ |
মোবাইল পরিচয়পত্র সিস্টেম | নাগরিকদের ডিজিটাল পরিচয় যাচাই সেবা |
জাতীয় আইন তথ্য কেন্দ্র ওয়েবসাইট | আইনি নথি ও তথ্যভাণ্ডার |
সরকারি অভিযোগ ও আবেদন প্ল্যাটফর্ম | নাগরিক অভিযোগ ও আবেদন জমা দেওয়ার সেবা |
প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ
- অগ্নিকাণ্ডের ফলে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়।
- সার্ভার অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সরকার আইটি সিস্টেমগুলো সতর্কতামূলকভাবে বন্ধ করে দেয়।
উপমন্ত্রী কিম মিন-জে বলেন: “আমরা প্রথমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিচ্ছি। এরপর ধাপে ধাপে সার্ভারগুলো পুনরায় চালু করা হবে।”
২০২২ সালে দেশটির সবচেয়ে বড় মোবাইল মেসেঞ্জার কাকাওটক-এর ডেটা সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের পর ৫ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী বড় ধরনের সেবা বিঘ্নের মুখে পড়েছিলেন।
সে সময় কাকাও কোম্পানিকে দুঃখ প্রকাশ করতে হয় এবং সরকার প্রতিরোধমূলক পরিকল্পনার আহ্বান জানায়।