দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি। আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রকৃতির অক্ষুণ্নতা বজায় রেখে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, মানব সম্প্রদায় ও প্রাণিকূলের অস্তিত্বের জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই।
বাণীতে তিনি বলেন, কিন্তু মানবসৃষ্ট বিভিন্ন উপায়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ করছি। পরিবেশ দূষণকে আরো বেশি সমস্যাসংকুল করে তুলেছে প্লাস্টিকজাত পণ্যের অপরিকল্পিত ব্যবহার। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ভোক্তাসাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি
প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে প্লাস্টিক পণ্যের পুনঃব্যবহার ও এর টেকসই বিকল্প উদ্ভাবন খুবই জরুরি এ কথা উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রকৃতির অক্ষুণ্নতা বজায় রেখে সবাই মিলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করবো এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সখী-সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবো’ – এটাই হোক সকলের ব্রত।

‘পরিবেশ দূষণরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে’ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও সোমবার (৫জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক উৎপাদিত হচ্ছে, যার অর্ধেক হলো শুধু একবার ব্যবহৃত প্লাষ্টিক এবং এগুলোর বেশিরভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়। প্লাস্টিক সহজে পঁচে না এবং ক্ষয় হয় না। ফলে জলাভূমি, নদ-নদী ও সমুদ্রে প্রবাহিত হয়ে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ শুধু সামুদ্রিক প্রতিবেশ নয়, পাহাড়ের চূড়া থেকে শুরু করে সমুদ্রতল পর্যন্ত প্রতিটি প্রতিবেশে বিরাজমান জীববৈচিত্র্য এবং সর্বোপরি মানবস্বাস্থ্যের জন্য একটি দৃশ্যমান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি মনে করেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ এবং এবারের শ্লোগান ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
আরও দেখুনঃ