প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতি (সাহাবুদ্দিন) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। দীর্ঘদিন তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে চাকরি করেছেন। পরে বিএনপির সময় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেও এত প্রচার করতে চাননি।
কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মো. সাহাবুদ্দিনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর মধ্যে দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে। আমরা চাইব যেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তারও সবসময় এই প্রচেষ্টাই থাকবে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। কারণ গণতন্ত্রের জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। সেজন্য তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশ করে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
নতুন রাষ্ট্রপতি একজন পোড় খাওয়া মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন সভাপতি হিসেবে।
পাবনার পূর্বতন গান্ধি বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নের পর সাহাবুদ্দিন রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন পাবনার অ্যাডওয়ার্ড কলেজে। সেখান থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন।
১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি করেন ২৫ বছর। এরপর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।

২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন। এরপর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুর পর প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।
আরও দেখুনঃ