ভারতে গণধর্ষণের’ শিকার বাংলাদেশি নাবালিকা। বাংলাদেশি এক নাবালিকাকে’ গণধর্ষণ ও ভারতীয় দুই নাবালিকাকে’ গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চার ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ মহকুমার বাগদা সীমান্ত এলাকায়। ঘটনায় চার যুবককে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে বাগদা থানার পুলিশ। তিন বাংলাদেশি নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে সরকারি সেফহোমে।
ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নাবালিকা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজের প্রমাণ দেখিয়ে তিন বাংলাদেশি নাবালিকাকে ফুসলিয়ে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে আসে এক ভারতীয় দালাল। রাতে সীমান্ত রক্ষীদের নজর এড়াতে তাদের লুকিয়ে রাখা হয় সীমান্ত ঘেঁষা একটি মুরগির পোল্ট্রি ফার্মে। সেখানেই বাংলাদেশি তিন নাবালিকার অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে চায় ফার্মে কর্মরত চার ভারতীয় যুবক।
এদের মধ্যে দুই নাবালিকা কোনোভাবে পালিয়ে যেতে পারলেও অন্য এক নাবালিকা ৪ যুবকের লালসার শিকার হয়। পালিয়ে যাওয়া দুই নাবালিকা পরে স্থানীয়দের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বললে গ্রামবাসীদের সহায়তায় অভিযোগ জানানো হয় পেট্রাপোল সীমান্ত থানায়। এরপর ধর্ষিতা ওই নাবালিকাকেও উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় চার অভিযুক্তকে।

আটককৃতরা হলেন, সনৎ বৈরাগী, প্রথম মন্ডল, হিরো দাস ও প্রদীপ বিশ্বাস। এদিকে তিন বাংলাদেশি নাবালিকাকে মেডিকেল চেকআপের পর পাঠানো হয় সেভহোমে। আটককৃতদের শনিবারই তোলা হয় বনগাঁ মহাকুম আদালতে। এসময় আরও জিজ্ঞাসাবাদ জন্য তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জয়িতা বসু জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্ত চার ভারতীয় যুবককের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পকসো শিশু ধর্ষণ আইন ২০১২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও পুলিশের সক্রিয়তার পরও এমন ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছে সীমান্ত এলাকার নারীরা।
আরও দেখুনঃ