বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তার পানি

বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তার পানি। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে। পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।  ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার (৮ জুলাই) তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।  এ মৌসুমে প্রথম পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তার পানি

জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। প্রথম দফা স্বল্পমাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও বুধবার দিনগত রাত থেকে বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

 

বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তার পানি

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ মৌসুমে প্রথম পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তা চরে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।

 

বিপৎসীমা অতিক্রম করলো তিস্তার পানি

 

গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, রাত থেকে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধিতে তিস্তা পারে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে চলাচলে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ছে। হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডে তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রথম দফায় বন্যার পর দ্বিতীয়বার আবারও তিস্তা চরের ঘরবাড়িতে গতরাত থেকে পানি প্রবেশ করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তিস্তা চরের মানুষ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment