বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রোববার (৩০ জুলাই) এ পাঠান। এছাড়াও তিনি কাকরাইলে তাবলীগের মারকাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগেরও দাবি জানান।নোটিশ পাওয়ায় ৩০ দিনের মধ্যে এ ঘোষণাকে কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও কাকরাইলে তাবলীগের মারকাজ মসজিদের প্রধানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ

নোটিশে বলা হয়েছে, সারাবিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হলো পবিত্র হজ। উক্ত হজ ও উমরাহ থেকে সৌদি আরব বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে।

সারাবিশ্বে মুসলমানদের জন্য হজের পর দ্বিতীয় মহাসম্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা। এছাড়া সারা বছর তাবলীগ কার্যক্রমের নিয়ম আছে। ওই বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগের কার্যক্রমে ব্যাপক সংখ্যায় বিদেশি মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে আনতে পারলে বাংলাদেশ প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে এবং বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

 

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ

 

উপমহাদেশীয় ষড়যন্ত্র এবং কিছু ধর্মীয় নেতাদের পারস্পরিক হিংসাত্মক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশে তাবলীগের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বিশ্ব ইজতেমা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ধর্মীয় পর্যটন বাংলাদেশের একটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ যদি প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে কমপক্ষে দশ লাখ বিদেশি মুসলিম পর্যটক বাংলাদেশে আনতে পারে তাহলে এর মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশ কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে। এছাড়া এসব মুসলিম পর্যটকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়েরও সুযোগ তৈরি হবে। 

 

বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগকে ‘ধর্মীয় পর্যটন’ ঘোষণার দাবিতে আইনি নোটিশ

 

বাংলাদেশে তাবলীগে ‘মাওলানা সাদ’ ও ‘মাওলানা জোবায়ের’ নামে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় বিবাদ ও সংঘর্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাবলীগের কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment