বেগম মন্নুজান সুফিয়ান । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক নেত্রী, সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

মন্নুজান সুফিয়ান ১ জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে খুলনা জেলার দিঘোলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন। তার স্বামী আবু সুফিয়ান বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতা ছিলেন। পিতা মোসলেম মিয়া ও মাতা জোহরা বেগম।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

মন্নুজান সুফিয়ান ১৯৬৮ সালে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি এবং ৪২ টি ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর আগে সপ্তম জাতীয় সংসদে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হন।

সে সময় তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সব কটি নির্বাচনেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।

২০০৯-২০১৪ মেয়াদে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একদশ সংসদেও তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন। সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment